Latest posts by সম্পাদনা: এস.এম আব্দুর রাজ্জাক (see all)
- কিশোরগঞ্জে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে১৯ বছর ধরে জাল সনদে চাকরি - October 22, 2024
- বান্দরবান জেলা মডেল মসজিদ স্থান নির্ধারনে ধর্ম উপদেষ্টা - October 22, 2024
- স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মশাল মিছিল - October 22, 2024
মো.মিজানুর রহমান নাদিম বরগুনা প্রতিনিধি
:বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে গাজীপুর- কুকুয়া নদীর উপর নির্মিত আয়রন ব্রীজটি সন্ধ্যায় ভেঙ্গে পড়েছে। এতে তিন ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণসহ যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।
জানাগেছে, ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ কুকুয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে গাজীপুর- কুকুয়া নদীর উপর এ আয়রন ব্রীজটি নির্মান করেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে আকস্মিক একটি ইজিবাইকসহ ব্রীজটির মাঝখান থেকে ভেঙ্গে নদীর মধ্যে পড়ে যায়। এতে চার জন আহত হয়। এ ব্রীজটি দিয়ে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাজীপুর, হলদিয়ার উত্তর রাওঘা ও কুকুয়ার কৃষ্ণনগর গ্রামের জনসাধারণ, পশ্চিম গাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুবপুর ফাজিল মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষার্থীসহ ইজিবাইজ, হুন্ডা, অটোরিক্সা চলাচল করে। ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় জনসাধারণ ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাশ করতে যেতে পারছেননা। এতে ব্যাহত হচ্ছে তাদের লেখাপড়া।
পশ্চিম গাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ মাসুম বিল্লাহ, যুথী ও শেফালী বলেন, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন স্কুলে যেতে পারছিনা।
কুতুবপুর ফাজিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মরিয়ম, নাসরিন জানান, আমার বাড়ী পশ্চিম গাজীপুর গ্রামে ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন আমি মাদ্রাসায় গিয়ে ক্লাশ করতে পারছিনা।
হুন্ডা চালক কবির ও অটো রিক্সা চালক হাবিব মিয়া বলেন, আগে এ ব্রীজ পাড় হয়ে দ্রুত গাজীপুর ও হলদিয়া যেতাম। এখন ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ৩/৪ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।
পথচারী ইসমাইল জানান, এ ব্রীজটি দিয়ে তিনটি ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণ চলাচল করেন।
কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যার মোঃ বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার জানান, ভেঙ্গে যাওয়া ব্রীজটি পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব ব্রীজটি মেরামত করে দিবেন। আপাদত ভেঙ্গে যাওয়া ব্রীজটির পাশে একটি বিকল্প বাঁশের সাঁকো নির্মান করে দেওয়া হবে। যা দিয়ে জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে পারেন।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার কথা শুনে দেখে এসেছি। দ্রুত ব্রীজটি মেরামত করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্প পাঠানো হবে।