নদী,মানসী ও মনের গল্প,,,,,,,,,

May be an image of 1 person“হাবিবুর রহমান “
বর্ষা। আষাঢ় – শ্রাবণ মিলে। ছয় ঋতুর মধ্যে হাঁক ডাকে দাপটের। বেজায় সাহসী মেজাজের। চড়া চোখ রাঙানি। ধমকাতেও পটু।চাপা বাজি, সে তো বলার অপেক্ষা রাখে না। সব ঠিক আছে, বর্ষা বলে কয়ে চাপা মেরে জিততে চাই নীতিতে বিশ্বাসী।
তার মানে জিতাই যার নেশাতে পরিনত। সে যে ভাবেই হোক,শেষ মেষ যদি জিততে নাই পারে,তবে কেঁদে হলেও জিতবে। ঠিক, যে কথা। সে কাজ। তর্জন, গর্জন যাই করুক। জেতার জন্য বর্ষা কেঁদে কেঁদে নদীর বুক ভাসিয়ে দেয়।
নদী কিন্তু বর্ষার স্বচ্ছ জলে যৌবন ফিরে পায়।যৌবনের টানে ছুটে তার শত জনমের পিপাসার টানে আপন মনে সাগর পানে। নিজেকে বিলিয়ে দেবার জন্য,অপার মুগ্ধতার সান্নিধ্যে মনোভাবনার উচ্ছ্বাস আবেগে জন্মান্তরে র সাধ মিটাতে।অথচ নদীর বুকে গাঙচিলের বেসামাল
উড়াউড়ি, পারিযায়ী পাখির কলতানে মুখরিত। কাশ ফুলের শুভ্রতায় নদীর প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলে ভরা যৌবনের কারিশমায়। শেওলা শালুকের দৃষ্টিকাড়া ভালবাসা।স্বাগত জানাতে পাল নৌকায় বাদাম তোলে মাতাল মাঝি। গান ধরে নীল দরিয়ার। এসবে বেখেয়ালি নদী। কূল কিনারা বিহীন সাগরের পানে ভালবাসার ঢালিতে উথলে ওঠে নদী। হাজার নদীর ভীড়ে সাগরের দৃষ্টিতে কাড়ার ব্যর্থ চেষ্টায় অবস ক্লান্ত মনমরা হয়ে পড়ে। ভাঙা কঙ্কাল সার দেহে শ্রীহীন ভরা যৌবনের লাবন্যতার ললাট হারিয়ে শূন্যায় বেদনা বিদূর নিঃসৃত নিঃস্ব রিক্ত কাঙাল ব্যর্থ হয়ে পড়ে। ব্যর্থ অপচেষ্টার মনো কষ্টের বিলাপে বুক চাপড়ায়।
তত বেলায় চৈত্রের তপ্ত ভ্যাপসা কাঠ ফাটা রোদে নদীর জল শুকিয়ে চৌচির। কাশফুলেরা ঝরে পড়ে মরে নিশ্চহৃ। মাঝিরা নৌকা ছেড়ে বদলেছে পেশা। নদীর বুকে গাঙচিলও নেই, জেগেছে বালুচর। এ জন্য নদীর বোবা কান্না কেউ বুঝে না। নদী স্বার্থপর।
মানসী হারানোর যন্ত্রণা কেমন? নদীর বিক্ষতের মতো।
সুন্দরের পূজারি সবাই । কেউ বুঝে। কেউ বা আবার বুঝে না । মানসীর সংস্পর্শে যাওয়ার ভাসনা জাগ্রত। তাতে কোন সমস্যা নেই । শত সাধনায় পেলেও বর্ষার মত তর্জন-গর্জন হাক ডাকে কাবু করে আয়াত্বে নেয়। হাতের মুঠোয় রাখে,অবিশ্বাসের চোখে। তার খোঁজ রাখার কথা সে মহা অন্যায়,,, খুঁটিনাটি ঘটনা চক্রে জেতার দাম্ভিকতায় কাঁপিয়ে তোলে।
শেষ অবধি জিতার জন্য কেঁদে চোখ ফুলিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয়ার নিরন্তর চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
অজস্র ভুল ত্রুটি আর দোষের সাগরে ফেলে ছুটে ঠিক অলিক কল্পলোকে। নদীর মতো,,,,, গন্তব্যে।
যায় ধীর পায়,,, ঠাঁই নাহি হয় সুক্ষ্মতায়,,,
এভাবে হারায়,,,, হারিয়ে যায়,,, চঞ্চলা। চপলতা। এক গাঁদা বছর আগে হারিয়েছে মানসী। তর্কে, কেঁদে জেতা মানসীকে আজও খুজি নদীর ধারে। চায়ের কাপে,নিকোটিনের মাঝে। চলছি হারানো মানসীর অভিসারে,,,,,
যদি হৃদয়বান,বড় কলিজার মানুষদের মানসী হারিয়ে থাকে, টিকে থাকবেন আপনি,,,,,আপনারা,,,,,,হাজার বছর, ক্ষত বিক্ষত দেহ মনে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.