- কাশিমপুরে অবৈধ তিতাস গ্যাস সংযোগের মহা উৎসব - December 2, 2023
- জামালপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত – স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল - December 2, 2023
- জামালপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু’র মনোনয়নপত্র দাখিল – সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় - December 2, 2023

ঘাটাইল ( টাংগাইল) প্রতিনিধি
টাংগাইল জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন বছরের নতুন শ্রেণিতে ওঠা আর নতুন বইয়ের উৎসব সব কিছু ম্লান করে দিচ্ছে কতিপয় গাইড বই কোম্পানী আর জেলার কিছু শিক্ষক নামের ব্যবসায়িরা।
নতুন বছরের শুরুতে নতুন বই সরবরাহ করার সঙ্গে সঙ্গে লিখে দেওয়া হচ্ছে এই বই পড়ার জন্য সহায়ক হিসাবে এই গাইড অবশ্যই কিনতে হবে। গাইড বই না কিনলে তারা পড়া বুঝতে পারবে না এমনকি অকৃতকার্য হওয়ার ভয় পর্যন্ত দেখানো হচ্ছে।
কোটি টাকার মিশন নিয়ে বিভিন œবই কোম্পানির প্রতিনিধিরা ২০১৯ শিক্ষা বর্ষের ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেও পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি নোট-গাইড ও ব্যাকরনসহ অন্যান্য বই শিক্ষার্থীদের কেনার জন্য বলে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা মোটা অংকের অর্থেও বিনিময়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ সব নোটবই, গাইড ও কোম্পানির তৈরী করা সিলেবাস কিনতে বলেন।
যে সব পুস্তক প্রকাশনা কোম্পানী গুলো চষে বেড়াচ্ছে মিশন সফল করতে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য প্রগতি, অনুপম, লেকচার, আদিল, পাঞ্জেরী, এ্যাডভান্স, নবদূত, ইন্টারনেট, পপিসহ আরো কয়েকটি পুস্তক প্রকাশনা কোম্পানী তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে স্থানীয় এজেন্ট ডিলার সেট আপসহ মাঠ পর্যায়ে চষে বেড়াচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বই কোম্পানীর প্রতিনিধি বলেন, আমরা কোম্পানীর গাইড চালানোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষদেও বিভিন্ন ধরনের উপহার দিয়ে থাকি যেমন আলমারি, টেলিভিশন, কেবিনেট। তারা অনেক সময় এগুলো না নিয়ে নগদ অর্থ ও নিয়ে থাকেন। এসব নোটবই, গাইড বই কিনতে হচ্ছে সেট ভিত্তিক, যদি ইংরেজীর একটা গাইড দরকার হয়, শুধু মাত্র ইংরেজী গাইড বইটা দিবেনা, কিনতে হবে সেট ভিত্তিক।
এ ব্যাপারে বইয়ের দোকানীরা বলেন, কোম্পানী এই নিয়ম করেছে, আমরা কি করবো? দরকার একটি বই অথচ কিনতে হবে সেটসহ।
দেশের শিক্ষাঙ্গনে অনিয়মের নৈরাজ্য চলছে । সরকার শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তরিক হলে ও বিভিন্ন নামীদামী প্রকাশক ও স্বার্থান্বেষী শিক্ষক নেতাদের যোগসাজশে শিক্ষার্থী দের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে অবৈধ বই। এতে শিক্ষার্থী বাড়তি বইয়ের চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে । অভিভাবকরা উচ্চ মূল্যের বাড়তি বই কিনতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছে ।